কবে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি

ক্ষমতায় কবে যাবে তার কোনো ইয়াত্তা নেই কিন্তু তার আগেই বিএনপি নেতাদের যত লাফালাফি। আন্দোলনে বিফল বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোর ভীত আরো মজবুত করছে। কিন্তু জনগণকে সাথে নিয়ে কবে সরকারের পতন ঘটাবে বিএনপি তার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছেন না সচেতন মহল। শুধু সভা-সমাবেশে বিএনপি নেতাদের হুঙ্কার।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সোহরাওয়ার্দীর এক জনসভায় বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আরো দুই/তিন টার্ম ক্ষমতায় থাকা দরকার। এতে বুঝা যায়, সেভাবেই এগুচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এদিকে আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক শাহাদাৎবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকারের আমলের সব খুন-গুমের বিচার করা হবে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশ গভীর সঙ্কটে। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে এ সঙ্কটের সৃষ্টি করা হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যদিয়েই কেবল এ সঙ্কটের সমাধান হতে পারে।

শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারাদেশে আন্দোলন হলেও আমরা সফল হতে পারছি না। মতভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার সংলাপ চায় না। আমাদের নেত্রী সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা আলোচনা করতে চায় না। তারা জানে, সংলাপের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়লাভ করতে পারবে না।

অন্যদিকে শুক্রবার কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নানা-স্তরের নেতারাও অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলে যাচ্ছে। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল ও দল গঠন দুটোই অবৈধ এবং সে বিবেচনায় বিএনপি অবৈধ দল হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ধুম্রজাল তৈরির চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর